বিনা অনুমতিতে বিদেশ ভ্রমণ, যা বললেন মেয়র

গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এস এম রবিন হোসেন বিদেশ ভ্রমণে গেলেও কোনও ছুটি নেননি। ডলার সংকট কমাতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার পরও অনুমতি নেননি তিনি। গত ২ জুন তিনি কলকাতা ভ্রমণে যান।

এরই মধ্যে পৌর মেয়রের স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিরোধে একজোট হয়েছেন কাউন্সিলররা। মাসিক সাধারণ সভা বর্জনসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

বিনা অনুমতিতে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এস এম রবিন হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জরুরি চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলাম। আমার পায়ে সমস্যা, শুক্রবার দিন পায়ের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম। ঢাকায় চিকিৎসা করেছি, ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে পা ফুলে যায়, হাঁটতে পারি না।

স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভার্চুয়ালি বিষয়টি শুনেছি। সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পাইনি। গত তিন দিন ধরে আমি অসুস্থ। এই তিন দিনে অভিযোগ এসেছে কিনা জানি না।

বিনা অনুমতিতে বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার চাইলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।   

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুন মেয়র কলকাতা যান। 

এদিকে, কালীগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও তুলেছেন কাউন্সিলরা। তারা একজোট হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে মাসিক সাধারণ সভা বর্জন করেছেন। এতে কোরাম সংকট দেখা দিয়েছে।

সর্বশেষ ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে প্রায় ১০ জন মাসিক সভায় যোগ দেননি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা থাকা সত্ত্বেও মাসিক সাধারণ সভায় বাতিল করতে বাধ্য হন মেয়র।

সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের জন্য পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১০ জুলাই দুপুর ১২টায় সকল সদস্যকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে গত ৫ জুলাই চিঠি দিয়েছিলেন পৌর মেয়র। এরপর মোট ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে প্রায় ১০ জন সাধারণ সভায় উপস্থিত হননি।

জানা গেছে, সাধারণ সভায় ৪ এবং ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছাড়া তিন নারী কাউন্সিলরসহ অন্য সকল কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সভায় যোগ দিতে তাদের বিভিন্নভাবে তদবির করা হচ্ছে।

একাধিক কাউন্সিলরের অভিযোগ, মেয়র কাউন্সিলরদের সঙ্গে কোনও ধরনের পরামর্শ ছাড়াই এক তরফাভাবে অথবা তার পছন্দের দুই একজন কাউন্সিলরকে নিয়ে পৌরসভার সকল সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া বিভিন্ন উপকমিটি থাকলেও তাদের কাজে কোনও ধরনের সহযোগিতা করেন না। ফলে উপকমিটিগুলো এক প্রকার নিষ্ক্রিয়। আয়-ব্যয়ের বিষয়ে কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রাখা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।