তাবলিগের জুবায়ের-সাদপন্থীদের মারামারিতে প্রাণ গেলো এক মুসল্লির

রাজধানীর নীলক্ষেত জিলানী মার্কেটের মসজিদে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়ের ও ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীপন্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় শামসুল হক (৫৫) নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছেন। তিনি মাওলানা সাদের অনুসারী বলে জানা গেছে। 

বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। 

নিহতের বন্ধু গোলাম সাব্বির বলেন, ‘বিকালে নিউ মার্কেট থানার নীলক্ষেত বাবুপুরা জিলানী মার্কেটের পাঞ্জেগানা মসজিদে আসর নামাজ পড়ে আমরা তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা বয়ান করে দাওয়াত দিচ্ছিলাম। এ সময়ে মাওলানা জুবায়েরের এক অনুসারী মসজিদে এসে বয়ান বন্ধ করতে বলেন। এক পর্যায়ে তিনি মসজিদের মোয়াজ্জেম ও আমাকে (গোলাম সাব্বির) মারতেও আসেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসময় ওই মার্কেটেরই ব্যবসায়ী শামছুল হক ভাই এগিয়ে গিয়ে ছাড়াতে যান। তখন আনোয়ার নামে ওই ব্যক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বুকে কিল ঘুষি মারেন। পরে শামসুল হক অচেতন হয়ে পড়েন।’

এমনিতেই শামসুল হকের হার্টের রোগ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ নিহত শামসুল হক মাওলানা সাদের অনুসারী ছিলেন বলেও জানান গোলাম সাব্বির। 

নিহতের ভাই মোশাররফ জানান, তার ভাই শামছুল জিলানী মার্কেটের ব্যবসায়ী। তিনি নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।

মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, ‘সেখানে আনোয়ার আমার ভাইকে মারধর করে মেরে ফেলেছে। ওখানে তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।’ 

অভিযুক্ত আনোয়ার স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতার স্বজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই নেতার পরিচয়ে আনোয়ার এলাকায় অপকর্ম করে বেড়ায়; যা এলাকার সবারই জানা।  

নিহত শামছুল হক রাজধানীর হাজারীবাগ ৮নং বুলাল মহল লেনের বাসিন্দা মুনসুর সর্দারের ছেলে।