বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের শনাক্ত করা উচিত: প্রধান বিচারপতি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পেছেন যে কুশীলবরা ছিল তাদের শনাক্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে স্মৃতি চিরঞ্জীব সৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পাবো না। কিন্তু তিনি যে উদ্দেশ্যে দেশটাকে স্বাধীন করেছেন আমরা সে লক্ষ্য বাস্তবায়িত করবো।

বঙ্গবন্ধুহত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজতে কমিশন গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত। সেটা উনারা সিদ্ধান্ত নিবেন। এটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। এর পেছেন যে কুশীলবরা ছিল তাদের আইডেন্টিফাই (শনাক্ত) করা উচিত, যাতে করে কিছু না হলেও জাতি যেন তাদের ঘৃণা করতে পারে।  

এরপর সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের বলতে চাই তার নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে ঘাটতি কতটা ছিল? যদি ঘাটতি না থেকে থাকে তাহলে দেশের সংবিধান মেনে নিয়ে, একাত্তরকে স্বীকার করে নিয়ে তারপর বাংলাদেশে রাজনীতি করি। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবো আর সহনশীল হবো না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না।

তিনি বলেন, এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ঠিক সেই হিসাব-নিকাশ করেই ৩ নভেম্বর যে হত্যাকাণ্ড করা হয়, যাতে জাতি দিন দিন ধ্বংসের দিকে যায়। সেই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগোতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, বিচারপতি আশরাফুল কামাল, বিচারপতি খিজির আহম্মেদ চৌধুরী, বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার প্রমুখ।