‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভাজন থাকতে পারে না’

১৫ আগস্ট নিয়ে অভ্যন্তরীণ যে ভূরাজনীতি হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভাজন থাকতে পারে না। দেশে চলমান এই বিভাজন দূর করার দায়িত্ব রাজনীতিবিদের নিতে হবে। তার জন্য ঐকমত্য জরুরি।

শনিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট: রাজনীতির বিভাজন রেখা?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে দেশের বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।

এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু গোলটেবিল বৈঠকটির সঞ্চালনা করেন।

বৈঠকে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ যে বিভাজন রয়েছে, এখানে যদি আমরা ঐকমত্যে না আসতে পারি, জাতি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের গবেষক ও ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘মূল্যবোধের জায়গাটায় আমরা সর্বজনীনতা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। এখানে আমাদের আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন গভীরভাবে। আরেকটা দিক হচ্ছে, যারা এই বিভাজনের প্রবক্তা ছিল, তারা নিষ্ঠুরতার দিকে চলে গেলো। ৭৫ হলো তার ভয়ংকর একটি উদাহরণ।’

মানবাধিকারকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি বিভাজিত। গণতন্ত্র যদি মানি তাহলে কোন রাজনীতিটা আমরা স্বীকার করবো, সেটা ভাবতে হবে।’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমাকে দেখতে হবে আমাদের একাত্তরের চেতনাটা কী ছিল? কেন আমরা স্বাধীন একটা দেশ হয়েছি। প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব একটা চেতনা রয়েছে৷ সেখানে যদি বিভাজন থাকে, তাহলে এই চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা এ বিষয়ে কাজ করেন, তারা কিন্তু বিভাজন কমানোর চেষ্টা করেন না। বাইরে থেকেও এই বিভাজন আরও উসকে দেওয়া হয়।’

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন, কলামিস্ট ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মমতাজউদ্দিন পাটোয়ারী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা হেলাল মোর্শেদ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির এডিটর ইনচার্জ মাসুদা ভাট্টি।