পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, এক সময় আমরা দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের উত্থান দেখেছি। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। ৬৩ জেলায় একসঙ্গে বোমা হামলা হয়েছে। এখন আমরা কী অবস্থা দেখছি? জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর 'জিরো টলারেন্স' নীতিতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করায় দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশে শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে দেশে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা জেলার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনসে ঢাকা রেঞ্জের অধীন বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, আগামীতে স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। যে কারণে পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ আইনানুগ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। তাই এ অবস্থা ধরে রাখতে পুলিশ সদস্যদেরকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, কোনও পুলিশ সদস্য কোনও ধরনের অপকর্ম করলে বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার দায়ভার বাহিনী বহন করবে না।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় ঢাকা রেঞ্জের অধীন ১৩ জেলার পুলিশ সুপার ও ৯৮ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা ও সদস্যরা তাদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা আইজিপির সামনে তুলে ধরেন। আইজিপি ধৈর্য ধরে তাদের কথা শোনেন এবং সম্ভাব্য সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। পরে আইজিপি ঢাকা রেঞ্জের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।