চার বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে বেবিচকের পাওনা ১২২৩ কোটি টাকা

দেশের চারটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। এ চারটি এয়ারলাইন্সের মধ্যে তিনটিই বর্তমান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ তিনটি এয়ারলাইন্সের কাছে পাওনা এক হাজার ১৯২ কোটি টাকারও বেশি।

রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর কাছে বেবিচক কত টাকা পায়, তা জানতে চেয়েছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেয় বেবিচক।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেবিচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, নভো এয়ার, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে মোট ১ হাজার ২২২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাওনা আছে বেবিচকের। গত মে পর্যন্ত হিসাবে ইউএস বাংলা ও এয়ার অ্যাস্ট্রার কাছে কোনও পাওনা নেই। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে নভো এয়ার, ইউএস বাংলা ও এয়ার অ্যাস্ট্রা বর্তমানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সংসদীয় কমিটিতে বেবিচকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা আছে ৪০৮ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি। জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে পাওনা  ৩৯৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচক পাবে ৩৮৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি। আর নভো এয়ারের কাছে পাওনা আছে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার মতো।

এদিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংস্কার কার্যক্রম তদন্তে গঠিত সাব কমিটির প্রতিবেদন কমিটির আগের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। রবিবারের বৈঠকে তা কার্যবিবরণী আকারে উপস্থাপিত হয়। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়— সংস্কার কাজে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন ছিল না। সরকারি অর্থ অপ্রয়োজনে নির্দিষ্ট কিছু লোকের সুবিধার জন্য ব্যয় করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ বর্গমিটারের রুম বাড়িয়ে ৪০ বর্গমিটার করা হয়েছে। এতে ২৭২টা রুমের মধ্যে ৪৬টি কমে বর্তমানে রুমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৬টিতে। এটি দরকার ছিল না বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর কাছে পাওনা টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

এ ছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে শহরে প্রবেশের সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে প্রশস্ত করা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি, সমুদ্র সৈকতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং পারস্পরিক সমন্বয় রেখে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কানিজ ফাতেমা আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন।