জলাবদ্ধতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর দায় ডিএনসিসি’র নয়: মেয়র আতিক

মিরপুরে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অবৈধ লাইন নেবে একজন আর  দায় হবে আরেকজনের, এটা তো হতে পারে না। পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষ মারা গেছে। কারণ একটি মাদ্রাসা থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। এই দায় তাদের নিতে হবে। আইনগতভাবে  তাদের বিরুদ্ধে যা যা করা দরকার, তা করবো আমরা।’

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির নগরভবনে ‘আগামীর অনুপ্রেরণা’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আর্ট ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক সময় শেওড়াপাড়া, মধুবাগ, খেজুরবাগান, সংসদ ভবনের পাশের রাস্তা, নেভির সামনের রাস্তা ডুবে যেতো। এখন কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। জলাবদ্ধতা হয়, আবার পানি নেমে যায়।’

তিনি বলেন, ‘কোনও এলাকায় ২০ ফুট প্রস্থের কম হলে আমরা রাস্তা জন্য বরাদ্দ দেবো না। এটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, ২০ ফুট প্রস্থের কম রাস্তা হলে সেখানে ড্রেন করার জায়গা থাকে না। এখনও অনেক রাস্তা আছে, যেগুলো ২০ ফুটের কম। সেগুলোতেই মূলত জলাবদ্ধতার সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় বোতল, পলিথিন, নানা আবর্জনা আমরা ইচ্ছে মতো যেখানে-সেখানে ফেলছি। যা ড্রেনের মধ্যে ঢুকছে, এতে পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে।’

ঢাকায় বিদ্যুতের লাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার জন্য কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, তার একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) বলা হয়েছে, জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া একটি ব্যয়বহুল কাজ। শহর নিরাপদ রাখতে এই কাজটি আমরা করতে চাই। ইতোমধ্যে বুয়েটকে বিদ্যুতের তার নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজনের বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র  বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭৭ জন চিত্রশিল্পীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ৭৭টি প্রতিকৃতি অংকনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এবং চিত্রশিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিতেই এই উদ্যোগ।’

ডিএনসিসি’র সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও  উপস্থিত ছিলেন— ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরা।