এএসপিদের পদোন্নতির দাবি, আইজিপির আশ্বাস

বাংলাদেশ পুলিশ বিসিএস ক্যাডারের ৩৫ ও ৩৬তম ব্যাচের এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা পদোন্নতি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে দেখা করেছেন। কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচনের আগেই পদোন্নতি নিশ্চিতের দাবি তুলে ধরেছে পুলিশপ্রধানের কাছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দফতরে ওই প্রতিনিধি দল আইজিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজেদের চলমান বিষয় এবং পদোন্নতির বিষয় আইজিপির কাছে তুলে ধরেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলের একাধিক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চাকরিতে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও জটিলতার কারণে পদোন্নতি আটকে আছে। এসব জটিলতা কাটিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের অভিভাবক পুলিশপ্রধানের কাছে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছি। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও পদোন্নতি না হওয়ায় তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। তবু প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সবাই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিসিএস পুলিশ ৩৫তম ব্যাচে ১১৪ জন কর্মকর্তা বর্তমানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বে পালন করছেন। যাদের চাকরির মেয়াদ প্রায় সাত বছরের মতো। আর ৩৬ ব্যাচের ১১৩ জন কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ ছয় বছরের কাছাকাছি হয়েছে। কিন্তু পাঁচ বছর চাকরির মেয়াদ হলেই এএসপি থেকে পদোন্নতি দেওয়ার বিধান রয়েছে পুলিশে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব দেখভাল করে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ৩৫ ও ৩৬ ব্যাচের বিসিএসের অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা এরই মধ্যে পদোন্নতি পেয়ে গেছেন। অথচ আমরা এখন পর্যন্ত কোনও পদোন্নতি পাইনি। আমরা এসব বিষয় আইজিপি মহোদয়ের কাছে তুলে ধরেছি। আমাদের অভিভাবক হিসেবে তিনি বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা বলেন, আগের ব্যাচের কর্মকর্তাদের সুপার নিউমারির বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আটকে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন ৩৫ ও ৩৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের কোন প্রক্রিয়ায় পদোন্নতি দেওয়া যায় কিংবা সুপার নিউমারি কোন বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়, সেসব বিষয় ভবিষ্যতে জানা যাবে।

বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, পুলিশপ্রধান ৩৫ ও ৩৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। ধৈর্য ধরে আইনের মধ্যে থেকে জননিরাপত্তা ও যেকোনও ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কিংবা নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনও ধরনের অপতৎপরতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে যাওয়ার কথাও বলেছেন আইজিপি।