অতিদরিদ্রদের জন্য নতুন স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা

চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ, হাসপাতালে ভর্তি ও প্রসবকালীন সেবা, বিভিন্ন ধরনের ল্যাব টেস্ট, স্বাভাবিক ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে এখন থেকে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী বিমা সুবিধা পাবেন। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্র্যাক ও প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ‘নিরাপত্তা’ নামে একটি নতুন স্বাস্থ্য এবং জীবন বিমার পাইলট প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে। রবিবার (৮ অক্টোবর) ব্র্যাক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিততে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্র্যাকের পক্ষে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের (ইউপিজি) পরিচালক পলাশ দাশ এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালালুল আজিম এতে সই করেন।

এই চুক্তির ফলে কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি, ও নিলফামারী— এই তিনটি জেলা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় বসবাসরত ব্র্যাকের আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের প্রায় তিন হাজার অতিদরিদ্র নারী ও তাদের পরিবার একবছর মেয়াদে ‘নিরাপত্তা’ স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে মো. জালালুল আজিম বলেন, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে পাইলট প্রকল্প পরিচালনার মাধ্যমে অপ্রচলিত বিমা সহায়তা ডিজাইন এবং বিমা সুবিধার বাইরে থাকা বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে বিমার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যাকের সঙ্গে এ ধরনের অংশীদারিত্বের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা অতিদরিদ্রদের জন্য যে বিবীমা সেবা পাইলট করতে যাচ্ছি, এটি একটি নতুন পণ্য।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের পক্ষে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের (ইউপিজি) পরিচালক পলাশ দাশ বলেন, এই বিমা প্রকল্প পাইলট করার ক্ষেত্রে আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো— স্বাস্থ্য খাতে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর যে ব্যয় হয় সেটাকে স্বস্তিদায়ক করা। আমরা আশাবাদী, এখান থেকে প্রাপ্ত শিখনের ওপর ভিত্তি করে সামনের দিনগুলোতে আমরা একটা কার্যকর স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার ধারনা পাবো। এটি অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অধিকতর স্বাস্থ্যসেবায় সংযুক্ত করতে পারবে, যা বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসনেও ভূমিকা রাখবে।