ধূপখোলা মাঠ ফিফা’র স্বীকৃতি পাওয়ার আশা মেয়র তাপসের

রাজধানী ঢাকার গেন্ডারিয়ায় নবনির্মিত ধুপখোলা মাঠটি ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ফিফা) স্বীকৃতি পাবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাঠটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

এ সময় মেয়র বলেন, "আমরা সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে ঢাকাবাসীকে একটি আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল মাঠ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি। এখানে ফুটবল মাঠের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের একটি বাস্কেটবল গ্রাউন্ড করা হয়েছে, ভলিবল কোর্ট করা হয়েছে, ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য পিচ করা হয়েছে। এভাবেই আমরা এখানে অনেকগুলো খেলার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। এখানে একটি গ্যালারি রয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা এখানে অস্থায়ী গ্যালারিও নির্মাণ করে দেবো। এই মাঠটা আমরা পরিচর্যা করবো, রক্ষণাবেক্ষণ করবো, সংরক্ষণ করবো এবং পরিচালনা করবো। আমরা আশাবাদী, এই মাঠটি ফিফা কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করবে।"

এই মাঠকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় নতুন জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, "আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম, একটি হলেও আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা করবো এবং এই ঐতিহাসিক ধূপখোলা মাঠে আমরা সেটা করতে পেরেছি। সেজন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই খেলার মাঠে ফুটবলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা যাবে। এখানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এসেছেন। তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম ফুটবল ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এই মাঠে তাদের অনুশীলন করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি মনে করি, এই মাঠকে কেন্দ্র করে যে আগ্রহ-স্পৃহা তৈরি হয়েছে এর মাধ্যমে পুরাতন ঢাকায় আবার একটি নবজাগরণ সৃষ্টি হলো।"IMG-20231011-WA0011

বহু বাধা অতিক্রম করে এই মাঠ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, "এই মাঠটি নিয়ে অনেক কুচক্রী মহল বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা করেছিল। বিভিন্নভাবে দখল ও ভাগাভাগি করার পাঁয়তারা করেছিল। এই এলাকার সংসদ সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতারা, এই এলাকার কাউন্সিলরসহ সংলগ্ন এলাকার কাউন্সিলররা এবং এই এলাকার সাধারণ জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থনে আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করে এই মাঠ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।"

এর আগে মেয়র মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করেন। প্রীতি ম্যাচটি ০-০ গোলে ড্র হয়। পরে তিনি সাঈদ খোকন কমিউনিটি সেন্টারে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসবে যোগ দেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার, ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ২১ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।