মোহাম্মদপুরে পরিবহনশ্রমিকের মারধরে বাসচালক নিহত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পরিবহনশ্রমিকের মারধরে মো. রাসেল মাতুব্বর (৩২) নামে এক বাসচালক নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানাযর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মগবাজারে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সেখানে প্রতিযোগিতা করে বাস চালানোর সময় লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে এসে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে একজন বাসচালক আহত হন। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে নিহত চালকের পরিবার অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মৃতের ছোট ভাই বাদশা মাতুব্বর জানান, তার বড় ভাই, রাসেল রমজান পরিবহনের চালক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাস স্ট্যান্ডের সিরিয়াল নিয়ে ও প্রতিযোগিতা করে বাস চালানোর সময় লুকিং গ্লাস ভেঙে যাওয়ায় মোহাম্মদপুর ৩ নম্বর স্ট্যান্ডে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে শহিদুল ও আলামিন পরিবহনশ্রমিক বড় ভাই রাসেল মাতুব্বরকে মারধর করেন। সেখান থেকে তিনি বাসায় চলে যান। ওই দিনই দিবাগত রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত রাসেল শরীয়তপুর জেলার পালং উপজেলার দক্ষিণ সোওলা মাদবরবাড়ি গ্রামের মালি আব্দুল হালিম মাতুব্বরের ছেলে। তিনি মোহাম্মদপুর ১ নম্বর গেট কবরস্থানের বিপরীত পাশে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন তিনি।