রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সহনশীল আচরণের আহ্বান আসকের

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একইসঙ্গে সংগঠনটি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি সহনশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায়।

আসকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পুনরায় সহিংস হয়ে উঠেছে। যা জনমনে আতঙ্ক ও চরম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও নেতা-কর্মীদের ধর-পাকড় বা গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে। এমনকি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এমন রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এ অরাজকতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে আসক দেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ, বিশেষত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটকে প্রতিপক্ষের প্রতি সহনশীল আচরণের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে যেন অনভিপ্রেত বাধা প্রয়োগের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি রাজনৈতিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর এমন পাল্টাপাল্টি সহিংস কর্মসূচি প্রকৃতপক্ষে জনদুর্ভোগ ও প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে তোয়াক্কা না করে এমন কর্মসূচি কোনভাবেই কাম্য নয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক অধিকার চর্চার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দায়িত্বশীল ও সংযত আচরণ প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে। সেই সাথে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে। আসক সহিংসতা নয়, পারস্পরিক আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে।