অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে গুলশানে বহুতল ভবন পরিদর্শন রাজউকের

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় ভবনের দুর্ঘটনা কমাতে নগর উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তঃসংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গুলশান এলাকায় বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে গুলশান-১ এলাকায় রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন পরিদর্শন টিমের নেতৃত্ব দেন। এ সময়  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডেসকো, বিএসটিআই এর প্রতিনিধি, রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২ এর পরিচালক, গুলশান এলাকার অথরাইজড অফিসার, জোন-৪ এর পরিচালক এবং জোন-৪ এর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজউকের মেম্বার (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক, বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সকল ভবন মালিক ও ডেভেলপারদেরকে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও রাজউকের নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ইমারত নির্মাণে ব্যত্যয় রোধে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা কমাতে এই ভবনটি একটি উদাহরণ।

তিনি আরও বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনা কমাতে ভবন মালিকের সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। এখনও অনেক ভবন মালিক এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই অগ্নি দুর্ঘটনা কমাতে এবং ভবন নির্মাণের সঠিক নির্দেশনা মানতে সচেতনতামূলক বিষয়গুলো গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রচার করলে দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব।

গুলশান এলাকার অথরাইজড অফিসার ইমরুল হাসান বলেন, ভবনটি রাজউক হতে অনুমোদিত স্থাপত্য নকশা মেনে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে স্ট্রাকচারাল ও স্থাপত্য নকশা সংক্রান্ত কোনও ব্যত্যয় পাওয়া যায়নি। তবে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ভবনের অভ্যন্তরে ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও ফলস সিলিং নির্মাণে দাহ্য পদার্থের তৈরি উপকরণ কমিয়ে আনার ব্যাপারে ভবন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, ভবনটিতে যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার অ্যালার্ম, স্প্রিংকলার, ফায়ার হাইড্রান্ট ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ভবনে জরুরি অবস্থার সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও জরুরি যোগাযোগ নম্বর সংবলিত নির্দেশিকা নজরের আড়ালে রয়েছে। এটি সকলের সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে স্থাপন করতে বলা হয়েছে।