চালু হলো গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর

শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা এবং পৌরসভা সংলগ্ন জয়ন্তী নদীর অববাহিকায় ‘গোসাইরহাট-পট্টি নদীবন্দর’ চালু করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ‘র অধীন স্থাপিত এই বন্দরের মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ‘শরীয়তপুরসহ আশপাশের অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য গোসাইরহাট-পট্টি নদীবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

নবঘোষিত গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দরের উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি যেহেতু ব্যাপক এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে গোসাইরহাট ও শরীয়তপুরের এই অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পায়রা, মোংলা, চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর-সব কিছুর সঙ্গে এই নৌপথ যুক্ত থাকবে‌।’

বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর এলাকাটি গোসাইরহাট উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর এলাকার গোসাইরহাট-পট্টি লঞ্চঘাট থেকে বর্তমানে ঢাকা- চাঁদপুর- হাটুরিয়া-পট্টি-ডামুড্যা নৌপথে এবং ঢাকা-হাটুরিয়া-পট্টি-ডামুড্যা নৌপথে প্রতিদিন ৩টি করে মোট ৬টি দোতলা লঞ্চ চলাচল করে। গোসাইরহাট-পট্টি লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০টি ট্রলার যোগে বিভিন্ন ধরনের মালামাল চাঁদপুর এবং স্থানীয় চরাঞ্চলে পরিবহন করে থাকে। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে পট্টি, হাটুরিয়া ও ডামুড্যা লঞ্চঘাট থেকে ইজারার মাধ্যমে সরকারের ১৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

সুধী সমাবেশে নৌপ্রতিমন্ত্রী

সুধী সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আগে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান ছিল না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সময়ে দেশের মানুষের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, থার্ড বিমান বন্দর টার্মিনাল নির্মাণ করেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার কারণে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।’ প্রতিমন্ত্রী উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আবারও নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

সমগ্র পৃথিবীর সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদীর অববাহিকায়, প্রান্তিক পর্যায়ে এই এলাকাগুলো এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল জায়গাটা হচ্ছে নৌপথ উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এই নৌপথ যাত্রীদের থেকেও ব্যবসা-বাণিজ্য যোগান দিবে বেশি। যখন নদীবন্দর হয়ে যাবে তখন বিআইডব্লিউটিএ চ্যানেল ঠিক করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছি, বাংলাদেশে এখন অনেকগুলো ড্রেজার আমাদের সংরক্ষণে আছে সরকারি পর্যায়ে এবং বেসরকারি পর্যায়ে। নৌপথ সচল রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন কার্যক্রমের মধ্যে এই নৌ পথটি একটি।’