ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা আসকের

ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে তীব্র নিন্দা ও যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর প্রায় সাত দশক ধরে চলমান নিপীড়ন বর্তমানে রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এতে তাদের মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর গুদাম, যোগাযোগব্যবস্থা কোনকিছুই। জাতিসংঘ বলছে, গাজার কোনও জায়গাই আর নিরাপদ নয়। ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের ওপর এ নির্বিচার হামলায় তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান করছে আসক ।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ক্রমাগত পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে ইসরায়েল, যা পরবর্তী সময়ে তীব্র আকার ধারণ করে। শুধু গত এক মাসে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার শিশু রয়েছে। চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে গাজার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। খুবই স্বল্প পরিমাণে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে। মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকটে অবরুদ্ধ লাখ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ সঙ্কট মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলতে পারে। ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে।

আসক জানায়, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধ অবশ্যই যোদ্ধাদের মাঝে সীমিত থাকতে হবে। যখন বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, তখন এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাছাড়া অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সরবরাহে ইসরায়েলের অস্বীকৃতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থি। এ সংঘাতের অবশ্যম্ভাবী ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার মানবিক বিপর্যয় বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত, বিরতিহীন ও বাধাহীন ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের অধিকার নিশ্চিতের দাবিও জানায় সংগঠনটি।