পোশাকশ্রমিকের মৃত্যুতে আসকের নিন্দা, ক্ষতিপূরণ দাবি

গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে এক শ্রমিকের মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুরে তৈরি পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে একজন নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও একজন শ্রমিক। নিহতের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছে আসক।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। গত ৭ নভেম্বর পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে মজুরি বোর্ড। পরে মজুরি বোর্ড ঘোষিত বেতন প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। এর জের ধরে বুধবার (৮ নভেম্বর) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি ও জরুনসহ আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে দুজন পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ এবং অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হন। এরমধ্যে আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩০) নামে একজন নারী পোশাকশ্রমিককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে আসক গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

আসক জানিয়েছে, সভা-সমাবেশের অধিকার বাংলাদেশ সংবিধান স্বীকৃত নাগরিকের মৌলিক অধিকার, নিরস্ত্র-নিরীহ পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলি চালানো অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য। পোশাকশ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে মজুরি নির্ধারণ, তাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রচলিত আইনের আওতায় বিচারসহ নিহতের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা প্রদানের দাবি জানাচ্ছে।