কাজী শাহেদ আহমেদের স্মরণসভা শুক্রবার

বাংলাদেশে আধুনিক সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক, দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক, জেমকন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাজী শাহেদ আহমেদের এক নাগরিক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

চলতি বছরের ২৮ আগস্ট কাজী শাহেদ আহমেদ মারা যান। ২৯ আগস্ট বাদ আসর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

কাজী শাহেদ আহমেদ ১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। এই গুণীজন তার জীবনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে নতুন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। পত্রিকা, ব্যবসা কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সবকিছুতেই হাজির হয়েছেন নতুনত্বের ছোঁয়া নিয়ে।

আজকের বাংলাদেশে প্রকাশিত পত্রিকায় যে আধুনিকতার উপস্থিতি, তার শুরুই হয়েছিল কাজী শাহেদ আহমেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার হাত ধরে, যা তৎকালীন মুক্তমত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নেও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর ১৪ বছর সেনাবাহিনীতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন কাজী শাহেদ আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন প্লাটুন কমান্ডারদের একজন।

১৯৭৯ সালে ‘জেমকন গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায়ী জীবন শুরু। প্রকাশক ও সম্পাদক ‘খবরের কাগজ’ ও ‘আজকের কাগজ’। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।

তার রয়েছে অসামান্য কিছু অলাভজনক উদ্যোগ। এসব অলাভজনক উদ্যোগের মধ্যে আছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন।

সাহিত্য পরিমণ্ডলেও তিনি সুপরিচিত। কাজী শাহেদ আহমেদের প্রথম গ্রন্থ ‘আমার লেখা’। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়। সে বছরই ‘ঘরে আগুন লেগেছে’ বইটি প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালে ৭৩ বছর বয়সে তার  প্রথম উপন্যাস ‘ভৈরব’ প্রকাশ পায়। আত্মজীবনী ‘জীবনের শিলালিপি’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। একই বছর বের হয় উপন্যাস ‘পাশা’। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘দাঁতে কাটা পেনসিল’। ২০১৮ সালে আসে উপন্যাস ‘অপেক্ষা’। ইতোমধ্যে ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে ‘ভৈরব’।