হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড় কেজি সোনাসহ এক দম্পতিকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তারা হলেন, ফারুক ও রাণী আক্তার।
সোমবার রাতে (২৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি বলেন, সোমবার ভোরে এপিবিএন এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) যৌথ অভিযানে এই দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। বহুতল কার পার্কিং এলাকায় অভিযুক্তদের সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এপিবিএন ও এনএসআই সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে এপিবিএন ও এনএসআই সদস্যরা ফারুক ও রাণী আক্তার দম্পতিকে আটক করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ফারুকের পরিহিত প্যান্টের ডান ও বাম পকেট থেকে সাদা টিস্যু দিয়ে মোড়ানো সোনার চেইন ৬ পিস, চুড়ি ৯ পিস, হার ২ পিস মোট ৭৯৬ গ্রাম সোনার অলংকার পাওয়া যায়, যার বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৪ হাজার ৮০০ টাকা।
জিয়াউল হক আরও জানান, রাণী আক্তারের হাতে থাকা একটি লেডিস ব্যাগের ভেতর থেকে সাদা টিস্যু দ্বারা মোড়ানো সোনার চুড়ি ৬০ পিস, সোনার আংটি ৯ পিস, কানের দুল ৫ পিস, ব্র্যাসলেট ১ পিস, গলার হার ৫ পিস, লকেট ৪ পিস, চেইন ৩ পিস পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৮০১ গ্রাম এবং বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা। তারা এসব অলংকারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
আর্মড পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক ও রাণী আক্তার জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানে যুক্ত। তারা জনৈক এমদাদ নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসব গ্রহণ করেছেন, সোনাগুলো একজন সৌদি প্রবাসী সোলাইমান সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে পাঠিয়েছেন। এরপর স্বর্ণগুলো এমদাদের কাছে আসে আর এমদাদ আসামিদের কাছে দিয়েছেন। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।