বিশ্বে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ বাংলাদেশে: আনু মুহাম্মদ

শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, স্কুল শিক্ষার ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করি। তাই এই স্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাবিশ্বের মধ্যে শিক্ষায় সবচেয়ে কম বরাদ্দ হয় এই দেশে। গণবিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক কিছু প্রতিষ্ঠানের কারণে এমন অবস্থা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়  ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১’ বাতিলের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “আমাদের এই শিক্ষাক্রম অন্য দেশের কারিকুলাম থেকে অনুবাদ করে চালানো হচ্ছে। এই সরকার সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করেছিল যার কোনও মূল্যায়নই তারা করেনি বরং এই পদ্ধতি গাইডনির্ভরতা বাড়িয়েছে। খেলার মাঠ, ল্যাবরেটরি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপাতসহ আনুষঙ্গিক আয়োজন না করে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এই সরকারই এটা বাতিল করবে। মাঝখানে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেক শিক্ষকই এই শিক্ষাক্রম চায় না। কিন্তু ভয়ে বলতে পারছে না। যারা চায় না তারা কী করে শিক্ষা দেবে? এগুলো নিয়ে সমালোচনা যৌক্তিক। কিন্তু সরকার কোনও সমালোচনা শুনতে চায় না। কারণ এই সরকার মেয়াদোত্তীর্ণ সরকার। এই সরকার সমালোচনা পছন্দ করে না, তোষামোদি পছন্দ করে।”400193090_1746882912482675_6362944378478008111_n

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদের সঞ্চালনায়, সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে স্বাক্ষর সংগ্রহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আনু মুহাম্মদ।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, শিশু ও শিক্ষা রক্ষা আন্দোলনের রাখাল রাহা এবং বাসদ (মার্কসবাদী) দলের সমন্বয়ক মাসুদ রানা।

মো. আজম বলেন, ‘প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার সংকট নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে ছাত্র ফ্রন্ট অগ্রণী। এই শিক্ষাক্রম শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সংকটের মধ্যে নিয়ে যাবে। এটার বাস্তবায়ন অসম্ভব। এটার বাস্তবায়ন শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে পিছিয়ে দেবে এবং উচ্চশিক্ষার জন্য অপ্রস্তুত করে তুলবে।

উল্লেখ, আগামী চার মাসব্যাপী সংগঠনটির এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচি চলমান থাকবে। এই কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন আলোচনা সভা, সেমিনারের আয়োজন করবে সংগঠনটি।

/এমএস/