ককটেল নাশকতার মূল হোতাসহ ৪ জন গ্রেফতার

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়সহ ২১টি স্থানে ‘সিরিয়াল ককটেল নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের’ মূল হোতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর পল্টন ও মুগদাসহ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে রমনা মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন— আশিকুর রহমান পান্না, পল্টন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল, সুমন হোসেন রনি ও বিল্লাল হোসেন।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় সংসদীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিনে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার তথা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় লক্ষ্য করে দুষ্কৃতিকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনার পরপরই রমনা থানার পুলিশ  ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে।’

খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘তদন্তের একপর্যায়ে সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, দুষ্কৃতিকারী আশিকুর রহমান পান্না বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পূর্ব পাশে অবস্থিত জাতীয় রাজস্ব ভবনের ছাদ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিক্ষেপকারী পান্না রাজস্ব ভবনের সিঁড়ি ব্যবহার করে একটি লাল-সাদা রঙের শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে একাই ভবনের ছাদে ওঠে এবং বিস্ফোরণ ঘটানোর পর খালি হাতে ভবন থেকে বের হয়ে যায়। পরে পান্নার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পান্না ও শফিকুল ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় তথা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোসহ রাজধানীর রমনা ও মতিঝিল এলাকায় আরও ৪টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’

ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার জানান, গ্রেফতার পান্নার দেওয়া তথ্যমতে ও রমনা থানার পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পল্টনের চামেলীবাগ থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।