বিজয়ের মাসে ৮৪ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ৮৪ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) যৌথভাবে এই সম্মাননার আয়োজন করে ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্ট। এ উপলক্ষে 

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এই আয়োজন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রণাঙ্গণের ৫২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নেপথ্য শিল্পী সৈনিকসহ মোট ৮৪ জনকে সম্মাননা জানানো হয়।

রাশিয়ান দূতাবাসের সংস্কৃতিক বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘রাশিয়ান হাউজ ইন ঢাকা’র পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। এসময় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান; মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজ মোহাম্মদ; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুল হক ও ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পাভেল দভয়চেনকভ তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস আমাদের উভয় দেশের জন্যই একটি গৌরবের দিন। বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭১ সালের বিপ্লবের দিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপর থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। রাশিয়া বৃহৎ শিল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছিল।’

দূতাবাস জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারি সফরের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সফরে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য প্রতিনিধিত্ব, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার বিষয়ে আন্তঃসরকারি চুক্তি সই হয়।

পাভেল দভয়চেনকভ আরও বলেন, ‘রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে রাশিয়ান সরকার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়ে ১২৪ করেছে।’

তিনি এই বৃত্তির সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে ও আশ্বাস দেন। ঢাকার রাশিয়ান হাউস রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ান ভাষা কোর্সের প্রচারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে বলেও জানান তিনি।