‘মালদ্বীপের শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করতে দেওয়া হবে না’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেছেন, মালদ্বীপের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় সেখানে কাজের সুযোগ বাড়ার পাশাপাশি ন্যায্য মজুরি প্রাপ্তির বিষয়ে সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। মালদ্বীপে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও সিন্ডিকেট করতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার এফডিসিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশের কর্মক্ষম ২৫ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয় অভিবাসনের মাধ্যমে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান না হলে বাংলাদেশে দরিদ্র লোকের সংখ্যা ১০ শতাংশ বেড়ে যেতো।

সচিব বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিক অভিবাসনের জন্য ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিক যাওয়ার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রত্যাহারে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে ওমানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে, অচিরেই ওমানে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি সুরাহা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বিদেশ থেকে আউট পাস নিয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মী দেশে ফেরার বিষয়টি সরকার অনুসন্ধান করে দেখবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য কেউ দায়ী থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যাগত অভিবাসী শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য ন্যাশনাল রি-ইন্টিগ্রেশন পলিসি নতুন সরকার গঠনের পর চূড়ান্ত করা হবে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য একচেঞ্জ রেটকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করা উচিত। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।

প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লি. (বোয়েসেল) যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। প্রতিযোগিতায় চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চলতি বছর দেশে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী পাঠানোর অবদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

‘প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত অর্থ বৈদেশিক আয়ের মূল চালিকাশক্তি’ শীর্ষক উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী উভয় দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।