ব্রাসেলসে বসে রিপোর্ট লেখা খুব সহজ: তথ্যমন্ত্রী

‘ব্রাসেলসে বসে রিপোর্ট লেখা খুব সহজ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ব্রাসেলসে বসে রিপোর্ট লেখা খুব সহজ। এবং তারা রিপোর্টটা নিশ্চয়ই আরও ২০-২৫ দিন বা ১ মাস আগে লিখেছিল। তারা যদি দেশে এসে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে যেত, গত ২০ দিনে দেশ যে ব্যাপকভাবে নির্বাচনমুখী, কী পরিমাণ উৎসাহ উদ্দীপনা-এটি যদি দেখতে পেতো, তাহলে রিপোর্টটা সংশোধন করে নিতো। আশা করি তারা রিপোর্টটা পরে সংশোধন করে নেবে।’

বামজোট নির্বাচন বর্জনের কর্মসূচি দেবে এমন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাম ভাইদের আমি খুব সম্মান করি। কারণ বাম ভাইয়েরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, প্রগতিশীল শক্তি। আমার মধ্যেও কিছু বাম চিন্তা-ভাবনা আছে। সমাজতন্ত্র আমাদের দলেরও অন্যতম মূলমন্ত্র। এ জন্য বাম ভাইদের অনেক বিষয়কে আমি সমর্থনও করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাম ভাইদের কোনও ভোট নাই। তারা ভোটে কোনও মানুষের সমর্থন পায় না। ঢাকা শহরে তো কেউ কেউ মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। প্রায় ৩৭ লাখ ভোটারের এই ঢাকা শহরে তাদের পক্ষে ভোটের সংখ্যা হাজার বা দুই হাজারের অংক পার হয়নি। তাদের ভোট নাই। ফলে তারা ভোট বর্জন করুক আর না করুক এতে নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না।’

দেশে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং এই নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সার্কভুক্ত দেশগুলো, ওআইসি আরও অন্যান্য দেশ ও জোট দেশে নির্বাচনি পর্যবেক্ষক ইতোমধ্যেই পাঠিয়েছে। ২০০৮ সালে ও অন্যান্য সময় যেভাবে নির্বাচনি পর্যবেক্ষকরা এসেছিল, একইভাবেই পর্যবেক্ষকরা বিদেশ থেকে এসেছে। দেশি পর্যবেক্ষকরাও ব্যাপকভাবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রার্থনা করেছে। অনেকেই অনুমতি পেয়েছেন। এই নির্বাচন নিয়ে সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের যে আগ্রহ, এতেই প্রমাণিত হয় এ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মহল ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচন বিরোধী প্রচারণা এবং তাদের নেতাদের বক্তব্য, এগুলো অন্তঃসারশূন্য এবং জনগণের কাছে এগুলোর কোনও আবেদন নাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করলো সেটি মুখ্য বিষয় নয়, জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করছে কিনা সেটিই মুখ্য। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও অনেক নাম করা দল, অনেক নাম করা নেতা অংশগ্রহণ করে নাই। কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল এবং সেটি আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছিল। তাই এখনও কোনও বিশেষ দল অংশগ্রহণ করা না করার ওপর নির্বাচন নির্ভর করে না। জনগণ ব্যাপকভাবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে।’