পরিচয় বোঝার উপায় নেই ট্রেনে নিহতদের, হবে ডিএনএ পরীক্ষা

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া চার জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এর আগে মৃতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন ঢাকা রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেতাফুর রহমান।

তিনি জানান, মৃতদের শরীর এতোটাই পুড়ে গেছে, যা দেখে চেনার কোনও উপায় নেই। এখন ময়নাতদন্তের সময়ে মৃতদেহ থেকে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বলা হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগকে। পরে সিআইডির মাধ্যমে দাবিদারদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নমুনা ম্যাচ করলে এরপর স্বজনদের কাছে  লাশ হস্তান্তর করা হবে।

এসআই মো. সেতাফুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত চার জনের দাবিদার আসলেও তিন জন লিখিত আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুই জন নারী। আবেদন ছাড়া একজন এসেছিলেন, তিনিও নারী।

মর্গ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের তিন জন নারী ও একজন পুরুষ। মরদেহগুলো মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে।

পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

উল্লেখ্য, যশোরের বেনাপোল থেকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। রাজধানীতে পৌঁছার পর রাত ৯টার দিকে এই ট্রেনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। ট্রেন থেকে দগ্ধ চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ট্রেনে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আট রোগীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। তাদের প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে এবং কেউ এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন বলে ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।