অনিয়ন্ত্রিত আতশবাজি-ফানুস নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল

আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর আইনি পদক্ষেপ ও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সাত জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পরিবেশবাদী ও প্রাণী অধিকার বিষয়ক কয়েকটি সংগঠনের রিটের শুনানি নিয়ে রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়েত ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি সারাদেশের অনিয়ন্ত্রিত আতশবাজি নিয়ন্ত্রণের হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, পরিবেশবাদী সংগঠন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন, পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং মানবাধিকার সংগঠন গণঅধিকার ফাউন্ডেশন এ রিট দায়ের করে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে নানা আইনি বিধিনিষেধের মধ্যেও বিশেষ দিনে আতশবাজির প্রচলন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরক আইন, ১৮৮৪ অনুসারে রঙিন আতশবাজি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এদিকে ক্যাপসের জরীপ অনুযায়ী ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজির জন্য শব্দদূষণ ১১৩ ভাগ বেশি ছিল, বায়ুমান ছিল ৫০০ একিউআই পর্যন্ত। যা মানুষের সহ্যক্ষমতার তুলনায় ৯ গুণ বেশি। একই রাতে সহস্রাধিক পাখি মারা গেছে, সারাদেশে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ২০০টি।