সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ

মির্জা আব্বাসের মামলা রায়ের তালিকা থেকে আবারও যুক্তিতর্কে

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি রায় ঘোষণার তালিকা থেকে আবারও যুক্তিতর্কের জন্য উত্তোলন করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

বিচারকের আদেশে বলা হয়, মামলাটিতে ঘটনাগত এবং তথ্যগত বিষয়সহ জটিল আইনগত বিষয় জড়িত রয়েছে। সে বিষয়ে উভয়পক্ষের অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানি হওয়া আবশ্যক মর্মে আদালত মনে করে। এজন্য মামলাটি রায় প্রচারের তালিকা হতে উত্তোলন করে অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। আগামী ২৪ জানুয়ারি অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করা হলো।

গত ২৮ ডিসেম্বর মামলাটি তৃতীয়বারের মতো রায়ের তারিখ পেছানো হয়। গত বছরের ২২ নভেম্বর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মির্জা আব্বাস আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা তদন্ত শেষে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর হয়। মামলার বিচার চলাকালীন ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।