শিশুদের কলতানে মুখরিত শিশুপ্রহর

সাপ্তাহিক ছুটির দিন মানেই অমর একুশে বইমেলায় শিশুদের দিন। শুক্রবারও (৯ ফেব্রুয়ারি) তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন শিশুদের কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে মেলার শিশু চত্বর। সকাল ১১টা থেকে ছিল বিশেষ আয়োজন শিশুপ্রহর।

মেলায় ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই বাবা-মায়ের হাত ধরে আসতে থাকে শিশুরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাদের উপস্থিতি। শিশুপ্রহরে সিসিমপুরের আয়োজনে হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সঙ্গে নাচ, গান, আবৃত্তিতে মেতে ওঠে শিশুরা। প্রিয় চরিত্রগুলোকে সামনে পেয়ে বিস্ময়ের শেষ নেই শিশুদের। অভিভাবকরাও তাদের দিয়েছেন সমান উৎসাহ। শিশুদের উচ্ছ্বসিত দেখে খুশি তারাও।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী এ মেলায় সপ্তাহের দুই দিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই দুই ঘণ্টা সময় থাকছে শিশুদের জন্য। এই সময়টাকে শিশুপ্রহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

শিশুদের জন্য প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে বইমেলায় শুরু হয় সিসিমপুরের পরিবেশনা

মেলায় কথা হয় গুলশান থেকে আসা পাঁচ বছরের সৌহার্দ্যর সঙ্গে। কী কী দেখেছো জানতে চাইলে সে বলে, ‘হালুমকে দেখেছি, টুকটুকিকে দেখেছি, ইকরিকে দেখেছি, শিকুকে দেখেছি।’ সবাইকে দেখে কেমন লাগছে জানতে চাইলে সে জানায়, ‘খুব ভালো লাগছে।’

মোহাম্মদপুর থেকে তিন বছর বয়সী রাহুলকে নিয়ে শিশু প্রহরে এসেছেন বাবা মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘ছুটির দিনে সবসময়ই বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। বইমেলায় শুরুর পর শিশুপ্রহরে আসছি। ও টেলিভিশনে সিসিমপুর দেখে। সামনে থেকে এখন হালুম, টুকটুকি দেখে খুব খুশি। বাচ্চাদের খুশি মানে আমাদেরও খুশি।’

মেলায় ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই কিনতে দেখা যায় শিশুদের

বেলা ১২টায় সিসিমপুরের আয়োজন শেষ হতেই বইয়ের স্টলগুলোতে ভিড় জমে শিশুদের। অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে বই পছন্দ করতে ও কিনতে দেখা যায় তাদের। শিশু প্রহরে বিকিকিনিতে খুশি বিক্রয়কর্মীরাও।

আজিমপুর থেকে আসা ছয় বছরের মিম জানায়, তার কার্টুন ভালো লাগে। তাই সে কার্টুনের বই কিনেছে। তারা বাবা রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চাকে নিয়ে সকালে এসেছি, বিকালে ভিড় হবে তাই। ওর পছন্দের বই দেখছে, কিনছে। এর আগে সিসিমপুর দেখেছে। খুব খুশি হয়েছে।’

ছুটির দিনের সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে এসেছেন বইমেলায়

ময়ূরপঙ্ক্ষি স্টলে প্রকাশনাটির প্রকাশক মিথি ওসমান বলেন, ‘শিশু প্রহরে আজ শিশুদের উপস্থিতি খুব ভালো। সবাই বই দেখছে, কিনছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে কার্টুনের বই।’

ছবি: প্রতিবেদক।