‘এক হাজার টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা মানবাধিকার লঙ্ঘন’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অভিযুক্তকে এক হাজার টাকা জরিমানা, নাকে খত ও কান ধরে ওঠবস করিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেছেন। ঘটনাটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি বলেও জানান তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে ‘এক হাজার টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা চেয়ারম্যানের!’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এখতিয়ার বহির্ভূত আপোষ-মীমাংসা করা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওই ঘটনার আলোকে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় বেড়া থানায় দায়ের করা মামলায় জড়িত সব আসামি গ্রেফতারসহ মামলার তদন্তকাজ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের সঙ্গে কমিশনকেও জানানোর জন্য পাবনার পুলিশ সুপারকে বলা হয়।

এর আগে, পাবনার বেড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা মাত্র এক হাজার টাকা জরিমানায় ধামাচাপার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জেলার চাকলা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত।