জীবনমান উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দের দাবি উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলনের

ঢাকাসহ দেশের ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষীদের জীবনমান উন্নয়ন, কল্যাণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ২০২৪-২৫ সালের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক অসি আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক ও অমুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশে ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের নাগরিক। উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর তরুণ প্রজন্ম এ দেশের আলো বাতাসের সঙ্গে মিশে বড় হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ও আবাসন ব্যবস্থার সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী পুনর্বাসনের ব্যবস্থার কথা বলেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনও কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ২০২৪-২৫ সালের জাতীয় বাজেটে ঢাকাসহ দেশের ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষীদের জীবনমান উন্নয়ন, কল্যাণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’

উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলনের ছয় দফা দাবি হলো–

২০২৪-২৫ সালের জাতীয় বাজেটে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাসরত ঊর্দুভাষীদের জীবনমান উন্নয়ন, কল্যাণ ও নিরাপত্তাসহ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অর্ন্তভুক্ত করা; ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সরকার যেসব মোহাজীরদের বাসস্থান ক্যাম্পকে প্লট করে বরাদ্দ দিয়েছেন, সেই সব প্লট বরাদ্দের আদেশ বাতিল করে নতুন মোহাজীরদের বরাদ্দ দিতে হবে; পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবারকে কমপক্ষে তিন শতক জমি এবং দুই কক্ষ বিশিষ্ট টিন শেডের বাড়ি নির্মাণ করে প্রতি পরিবারের নামে বরাদ্দ দিতে হবে; যেসব স্থানে উর্দুভাষী ক্যাম্পবাসীদের পুনর্বাসন করা হবে, যেসব স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, খেলার মাঠ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো মানবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা এবং অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ-নির্দেশ দিতে হবে এবং ঝুঁকিতে থাকা সব ক্যাম্পবাসীকে পুর্নবাসন না হওয়া পর্যন্ত ভূমি দস্যুদের হাত থেকে রক্ষার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে নির্দেশ দিতে হবে।