ফিলিস্তিনের নিহত-নিপীড়িত সাংবাদিকদের প্রতি সংহতি প্রকাশ

আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনি সংগ্রামী ও নিপীড়িত সাংবাদিকদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংবাদকর্মী, মিডিয়াকর্মী ও অ্যাকটিভিস্টরা।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় সমবেত হয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা এ সংহতি জানান। এ সময় ফিলিস্তিনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সংবাদকর্মী, মিডিয়াকর্মী ও অ্যাকটিভিস্টরা।

বক্তারা বলেন, গাজা উপত্যকায় সাংবাদিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারকেও টার্গেট করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক সাংবাদিক পরিবারের সদস্য নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই হত্যাযজ্ঞ যেমন নজিরবিহীন, তেমনি ভয়াবহ।

প্যালেস্টেনিয়ান জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট (পিজেএস), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে), আরব সাংবাদিকদের ফেডারেশন (এফএজে) এবং সহযোগী সংগঠনগুলো ২৬ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস ঘোষণা করেছে। এই দিবসের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘১ মিনিট নীরবতা’ কর্মসূচি পালন করবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদকর্মী ও মিডিয়াকর্মীরা।

ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি গণহত্যায় এ পর্যন্ত ১৩২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

সাংবাদিকদের অধিকার ও সুরক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে গোটা বিশ্বে নিহত সাংবাদিকদের ৭৫ শতাংশের বেশি ছিলেন ফিলিস্তিনি।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক ও গবেষক ড. সায়দিয়া গুলরুখ বলেন, ফিলিস্তিনের সাংবাদিকরা অসীম সাহস দেখে সারা বিশ্ব তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে এবং বাংলাদেশের সাংবাদিক হিসেবে আমরাও তাদের সাহস ও সংগ্রামে সংহতি জানাই।

তিনি আরও বলেন, গাজায় সংঘটিত ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধগুলোর একটি হলো আন্তর্জাতিক রীতিনীতি (কনভেনশন) লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালানো। সাংবাদিক হিসেবে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন