টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হলো জলবায়ু পরিবর্তন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন কনসাল্টেটিভ গ্রুপ অব ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (সিজিআইএআর) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একটি বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন বিশেষ করে ধান উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য হলো টেকসই, নিরাপদ ও লাভজনক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক্সপার্ট পোলের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি, ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অফিসার ডাউ দ্য অ্যান, কম্বোডিয়ায় কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ফেলোউন চ্যান, ইরির সিনিয়র বিজ্ঞানী বোয়র্ন ওলে স্যান্ডার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে ১৭টি দেশের ৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

সিজিআইএআর এশিয়ান মেগা ডেল্টাস (এএমডি) নিয়ে গবেষণা করছে। এর মধ্যে রয়েছে গঙ্গা- ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ বা বাংলাদেশ, ইরাবতী বদ্বীপ বা মিয়ানমার এবং মেকং বদ্বীপ বা ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করাই এই গবেষণার লক্ষ্য।