বেইলি রোড ট্রাজেডি: তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি

রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে আগুনের ঘটনায় প্রানহানির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিবকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়।

শনিবার (২ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া এ চিঠি পাঠান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রিন কোজি কটেজ নামে ভবনে আগুনের এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আরও অনেকে হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পরের দিন দেশের সব গণমাধ্যমে ওই বিষয়ে খবর প্রচারিত হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে জানতে পারি, ভবনটি যে ধরনের বাণ্যিজিকভাবে ব্যবহার হয়েছে তার অনুমোদন ছিল না। ভবনের ভেতরে উঠা-নামার সিঁড়ি নিয়ম অনুযায়ী তৈরি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট বারবার সতর্ক এবং ভবনে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ দেওয়ার পরও কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দায়িত্বের অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এর আগে আমরা নিমতলী, এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনাসহ প্রায় প্রতি বছর এ ধরনের অঘটন ঘটতে দেখছি। এতে প্রাণহানী হচ্ছে। আগের ঘটনাগুলোর বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেটির সঠিক তথ্য তুলে ধরে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ২৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় যাদের দায়িত্বের অবহেলা ছিল, তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা কীভাবে হচ্ছে এবং রাজধানীতে কতগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে সেগুলি চিহ্নিত করে সিলগালার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। না হলে আমরা যথাযথভাবে আইনি পদক্ষেপ নেবো।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামে সাততলা ভবনের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আট জন শিশু‌।