চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আইজিপির নির্দেশ

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, মামলার সাজার হার বাড়াতে হবে। এ নিয়ে কাজ করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে মামলার সাজার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

রবিবার (৩ মার্চ) সকালে পুলিশ সপ্তাহের শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি এসব নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ও সম্মেলন সংক্রান্ত উপ-কমিটির সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম। র‍্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে আইজিপি বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্যদের নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ফলে পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা বেড়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জনআস্থা অর্জনের লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অভিযাত্রী বাংলাদেশ পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল পুলিশ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি ইনামুল হক সাগর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সভায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদারকরণ, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী পুলিশিং ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বিভিন্ন উইং, সিআইডি, পিবিআই এবং এসবি সংক্রান্ত প্রশাসনিক ও অপারেশনাল বিভিন্ন বিষয় সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় গত বছরের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পুলিশের সার্বিক কর্মদক্ষতা ও পেশাদারত্বের উৎকর্ষের ফলে ২০২২ সালে সারা দেশে মামলার সাজার হার ১৭ ভাগ থেকে ১১ ভাগ বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে।