বাল্যবিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন: কামাল উদ্দিন আহমেদ

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রত্যেক শিশুই অনেক স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়। অথচ এ দেশে বাল্যবিয়ের মাধ্যমে কন্যা শিশুর সেই স্বপ্নগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এই স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। বাল্যবিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কক্সবাজারের রামু উপজেলার চারটি গ্রামকে বাল্যবিয়েমুক্ত ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ পরিচালিত জাতীয় প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে রামু উপজেলার চারটি গ্রামকে বাল্যবিয়েমুক্ত গ্রাম হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত গ্রামগুলো হলো– গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বোমাংখিল, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম-সিকদার পাড়া, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়া (ছোটজামছড়ি-৪) এবং ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের উত্তর হাইটুপি গ্রাম। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মাঠে বাল্যবিয়েমুক্ত গ্রাম ঘোষণা উপলক্ষে ওই আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রামু এরিয়া প্রোগ্রাম ও বেসরকারি সহযোগী সংস্থা বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি।

মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাল্যবিয়ের কারণে একটি শিশু হয়ে গর্ভে ধারণ করতে হয় আরেকটি শিশুকে। শিকার হতে হয় পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের। যে কারণে বাড়ছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু। শিশু জন্মগ্রহণ করেই ভুগছে পুষ্টিহীনতাসহ অন্যান্য রোগে। সামাজিকভাবে বাল্যবিয়েকে বয়কট করতে হবে। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করতে গিয়ে কেউ বিপদে পড়লে মানবাধিকার কমিশন তার পক্ষে থাকবে।’

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাল্যবিয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে যৌতুকের। স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী নারীদের ব্যক্তিত্বের গঠন হয়। তারা যৌতুক থেকে নিজেদের বিরত রাখে। যৌতুক রোধ করতে হলেও বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হবে। এ সামাজিক ব্যাধি দূর করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ জন্য সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপও গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব সেবাষ্টিন রেমা, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক ও উপরিচালক এম রবিউল ইসলাম।