‘কিছুটা চিহ্ন তো থেকেই যাবে’

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ যথার্থই লিখেছিলেন, ‘ক্ষত শুকিয়ে গেলেও কিছুটা/ চিহ্ন তো থেকেই যাবে’। রাজধানীর বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজে’ অগ্নিকাণ্ডের সপ্তাহ পেরিয়ে যাচ্ছে, তবে ধ্বংসস্তূপে রয়ে গেছে ক্ষতচিহ্ন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঘরে রাখা ভবনটির সামনে গিয়ে দেখা যায়, বেইলি রোড দিয়ে যারা যাতায়াত করেন তারা দাঁড়িয়ে কিংবা রিকশা থেকেই ঘাড় ঘুরিয়ে কিছুক্ষণ দেখছেন পুড়ে যাওয়া ভবন। ভবনটি পাহারায় রেখেছেন পুলিশ সদস্যরা। ভেতরে যেতে পারছেন না কেউই। তবে সামনে থেকেই অনেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করছেন ভবনটির বর্তমান চিত্র। কেউ কেউ এই ভবনে কাটানো ব্যক্তিগত সময়ের স্মৃতিচারণ করছেন। হয়তো ভাবছেন, সেদিন তাদের সঙ্গেও ঘটে যেতে পারতো এমন দুর্ঘটনা। 

স্কুল থেকে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক মা। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন ভবনটির সামনে। কথা হলো এই নারীর সঙ্গে। জানালেন, তিনি নিজেও সন্তানদের নিয়ে এখানে প্রায়শই খেতে আসতেন। এই ধ্বংসস্তূপ দেখে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছেন, অন্য কোনও রেস্তোরাঁয়ও যেতে পারছেন না। না জানি, কোথায় কোন অনিষ্ট ঘটে! তার পাশেই ছবি তুলছিলেন কলেজগামী এক শিক্ষার্থী। তিনি জানান, বন্ধুদের নিয়ে ক্লাস শেষ করে এখানে আড্ডা দিতে আসতেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর তারা কোথাও বসতেও ভয় পাচ্ছেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভনটিতে লাগা আগুনে ঝরে গেছে ৪৬টি তাজা প্রাণ। এছাড়া আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন আরও কয়েকজন। তাদের জন্য আফসোস করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন পথচারীরা।

মঙ্গলবার বিকালে তোলা ছবি:

ক্ষতিগ্রস্ত ভনটির সামনে শুকনো গাছে ফুটেছে কিছু রঙিন বাগান বিলাস

নিরাপত্তার জন্য ঘিরে রাখা হয়েছে ভবনটি

রিকশা থামিয়ে ভবনের বর্তমান চিত্র দেখছেন এক চালক

অনেকেই ধারণ করে রাখছেন ক্ষতচিহ্ন

ভিডিও কলে স্বজনদের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি দেখাচ্ছেন এক পুলিশ সদস্য

নিহতদের স্মরণ করে আক্ষেপ করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান পথচারীদের

ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে পথচারীরা