কুমিল্লা ও পটুয়াখালীতে দুই শিক্ষা অফিসে দুদকের অভিযান

বিভিন্ন অভিযোগে দুটি শিক্ষা অফিসে অভিযোন চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সংশ্লিষ্ট জেলা কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ছয়টি অভিযোগ আমলে নিয়ে ওই দুটি স্থানে অভিযান চালায়। একইসঙ্গে চারটি সরকারি দফতরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দুদকে প্রতিবেদন দিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে কুমিল্লার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদকের এনফোর্সমেন্ট কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের সময় দুদকের টিম উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় ভ্রমণ ভাতা, রুটিন মেইনটেনেন্স, কন্টিজেন্সি, বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন খাতের ভাউচারসহ বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন। এছাড়াও উল্লিখিত উপজেলার বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে সংগৃহীত বক্তব্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

তিনি আরও জানান, একইভাবে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে অভিযান চালায় দুদকের পটুয়াখালীর এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। তারা পটুয়াখালীর দশমিনা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিল, ৪০ দিনের কর্মসূচি, কাবিটা ও টিআর প্রকল্পসহ যেকোনও বিল প্রদানে ফাইল আটকিয়ে ঘুষ দাবির অভিযোগ পায়। তারই অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। এ সময় ওই উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন তারা। এছাড়াও দশমিনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পূর্ব যৌতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। বক্তব্য এবং রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবেন তারা।