চিকিৎসক নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিকার না হওয়ার অভিযোগ

চিকিৎসকদের প্রহার বা নির্যাতনের ঘটনাগুলোর কোনও প্রতিকার হয় না বলে অভিযোগ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)। তাদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসন এসব বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে। এই বিচারগুলো আপস-মীমাংসা করা হয় প্রশাসন ও এক শ্রেণির ডাক্তার নেতাদের মধ্যস্থতায়।   

বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন এবং মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাদের দাবি, সরকারি ডাক্তারদের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তারা বাদী হয়ে মামলা করবেন এবং স্বাস্থ্য প্রশাসনকে আইনি সহায়তাসহ সবধরণের সমর্থন দিতে হবে। সরকারি খরচে এসব মামলা পরিচালনা করতে দিতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে তালিকাভুক্ত আইনজীবী প্যানেল রাখার দাবি জানান তারা।

তাদের মতে, চিকিৎসাজনিত ভুল অস্বাভাবিক নয়। এরজন্য রোগীকে ক্ষতিপূরণসহ চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের বিধান আছে। আমরা মনে করি রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের স্বার্থে এই অভিযোগগুলোর বিহিত হওয়া জরুরি। তাই বলে একে ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য করে চিকিৎসককে গ্রেফতার ও জামিন না দেওয়া সঠিক হতে পারে না।

এসময় তারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস’ অনুসরণ করার পক্ষে মত দেন। এতে চিকিৎসকদের বিরূদ্ধেও তখন ঢালাওভাবে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উত্থাপিত হবে না।

এছাড়া সব চিকিৎসাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরাসহ উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানায় সংগঠনটি।