মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের মেডিক্যাল অফিসার মো. রুহুল আমিনের মৃত্যু

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের মেডিক্যাল অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে মারা যান এই চিকিৎসক। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯৫ বছর।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ডাক্তার মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া সিলেট সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর অপর পারে ভারতের করিমগঞ্জ মহুকুমায় উদ্যোগী হয়ে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। রণাঙ্গনে আহত হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা হতো ওই হাসপাতালে। সেখানে তার টিম ১৯৭১ সালের জুন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত কয়েক’শ আহত মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার আগে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে আসাম রাজ্য সরকারের অস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে তিনি করিমগঞ্জের শরণার্থী শিবিরগুলোতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা দিয়েছেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া ১৯৭২ থেকে ‘৭৬ সাল পর্যন্ত সিলেটের সিভিল সার্জন এবং ১৯৭৮ থেকে ‘৮০ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক পদ থেকে অবসরে যান তিনি।

রুহুল আমিন ভূঁইয়া চার সন্তান ও আট নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তিনি দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নূরুল ইসলাম ভূঁইয়ার (ছোটন) বাবা তিনি।

মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। তাকে গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মাটিয়াগোধায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।