পাসপোর্ট অফিস ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে দুদকের অভিযান

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস ও ঝিনাইদহ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির স্থানীয় এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ছয়টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হলে দুটিতে অভিযান চালানো হয়। অন্য চারটি সরকারি দফতরে চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দুদককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে সেবা প্রদানে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পায় দুদক। পরে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ১-এর একটি এনফোর্সমেন্ট ইউনিট সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় দুদক টিমের সদস্যরা ছদ্মবেশে পাসপোর্ট অফিস পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় একজন আনসার সদস্য, একজন পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন বহিরাগত ব্যক্তির বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি দুদক টিমের সদস্যদের নজরে আসে। এ সময় আটক দালাল মহসিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারের জন্য পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের কাছে সোপর্দ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দুইজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে দুদককে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

অন্যদিকে, ঝিনাইদহ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ লাইসেন্স শাখার অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে নতুন ড্রাগ লাইসেন্স প্রদান এবং পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে ঘুষ দাবির অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ পেয়ে দুদকের ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযান চালায়। অভিযানের সময় দুদকের সদস্যরা ছদ্মবেশে গ্রাহক সেজে ওই অফিসে অবস্থান নেন। এ সময় লাইসেন্স নবায়ন করতে আসা সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ করার বিষয়টি দুদক সদস্যদের নজরে আসে। দুদক টিমের অভিযানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলার ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করেন। ওই অফিসে সেবার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে মর্মে দুদক টিমকে আশ্বস্ত করেন।