গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সমাবেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ছাত্রনেতা আমীর হামজা এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আবু তৈয়ব হাবিলদার।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ ও মহাসচিব আবু হানিফ, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক শামসুদ্দিন, ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, অ্যাকটিভিস্ট তৌহিদ, যুবনেতা মেরাজুল ইসলাম, গণশক্তি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মাওলানা নূরুল আজিমসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে সরকার সংসদে এখন পর্যন্ত কোনও নিন্দা প্রস্তাব পাস করেনি, গাজার গণহত্যা বন্ধে বিলও পাস করেনি। সরকার যদি ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে থাকতো, তাহলে অবশ্যই নিন্দা প্রস্তাব আনতো।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধে দলমত-নির্বিশেষে বাংলাদেশ থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানানো উচিত।

সংগঠনের সভাপতি আবু তৈয়ব হাবিলদার বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না। এর আগে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরায়েল রাষ্ট্রের কোনও স্বীকৃতি ছিল না। এই সরকার পাসপোর্টে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে ইসরায়েলকে কার্যত স্বীকৃতি দিয়েছে। অবিলম্বে পাসপোর্টে আগের মতো নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের গোপন বাণিজ্য ও সব বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করতে হবে। ইসরায়েল থেকে আমদানি করা সব আড়িপাতার যন্ত্র পরিচালনা বন্ধ করতে হবে। সবশেষে গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা বন্ধে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের যথার্থ ভূমিকা পালনের দাবি জানান তিনি।

সমাবেশ শেষে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েলের পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।