নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ দূতাবাসের ফ্রেন্ডশিপ হলে ‘উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট: শেয়ারিং অব বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে উজবেকিস্তান। অনুষ্ঠানে উজবেকিস্তানের স্বনামধন্য রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, উদ্যোক্তা, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় অনুষ্ঠানে উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সাফল্য ও অর্জন আন্তর্জাতিক মহলে আজ স্বীকৃত ও প্রশংসিত। বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের জনগণের মধ্যকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনের কথা উল্লেখ করে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গৃহীত কৌশল ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশ উপকৃত হতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন।

বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অর্থবহ সম্পৃক্ততার প্রতি আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও নীতির বর্ণনা করেন।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আরও ফলপ্রসূ করতে সরকারের দৃঢ়তা, আন্তরিকতা ও অঙ্গীকারের কথা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিসের রেক্টর ড. গুলচেহারা রিকসিয়েভা, সামারকান্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড কনস্ট্রাকসনের রেক্টর ড. চিদেম তুর্কইলমাজ, উইমেন অ্যান্ড গার্লস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিরআদিলোভা এবং ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউমান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক সাইয়োরা হোজাইভা। বক্তারা তাদের বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের ভূমিকা ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও অর্জন তাদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।