তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে কারাদণ্ড: আসকের উদ্বেগ ও নিন্দা

তথ্য অধিকার আইনে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। রবিবার (১০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা জাতীয় দৈনিক ‘দেশ রূপান্তর’ এর নকলা উপজেলা সংবাদদাতা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্পের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক শফিউজ্জামান। গত ৫ মার্চ দুপুরে ওই তথ্য না পাওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডর জেরে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠান।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ বলে বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে একজন পেশাগত সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো রাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতা প্রদর্শনের বহিঃপ্রকাশ। এর আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক শাস্তি ঘোষণা করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে।

আসকের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল বিবৃতিতে বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের প্রবণতা সাংবিধানিক মূলনীতির পরিপন্থি। আসক গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং যেকোনও সাংবাদিককে হয়রানি, নির্যাতন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় আসক এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে সাংবাদিক শফিউজ্জামানের মুক্তির এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানায়।