বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (১১ মার্চ) বিজিবি মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিজিবিতে বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা, চারটি ব্যাটালিয়নকে ট্রফিসহ ২৮ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সোমবার সকালে বিজিবি সদর দফতরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবার গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি বিজিবির আভিযানিক, প্রশাসনিক, প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা কার্যক্রম, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং খেলাধুলা ও শারীরিক উৎকর্ষতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক ও চোরাচালান রোধসহ বিজিবির ওপর অর্পিত যেকোনও দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে পালনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি যেকোনও ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে নিজেকে দূরে রেখে ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার বিষয়ে বিজিবির সব পর্যায়ের সদস্যদের নির্দেশনা দেন।

তিনি জানান, দরবার শেষে বিজিবিতে অপারেশনাল কর্মকাণ্ড, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ কোম্পানি, বিওপি কমান্ডারসহ অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনকারী ২৮ জনকে ব্যক্তিগত পুরস্কার দেওয়া হয়। চারটি শ্রেষ্ঠ ব্যাটালিয়নকে ট্রফি এবং ৫৩ জনকে মহাপরিচালকের অপারেশনাল ও প্রশাসনিক প্রশংসাপত্র (ইনসিগনিয়াসহ) দেওয়া হয়েছে। পরে বিজিবি মহাপরিচালক বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা, উপহার ও অনুদান দেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ইপিআরের ৮১৭ জন বীর শহীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের সূর্য সন্তান। তাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা বৃদ্ধিসহ তাদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে সব সুযোগ-সুবিধা আগের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। একইভাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরসূরীদের জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।’

বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে মাসিক ২০০০ টাকা আর্থিক অনুদান, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও পোষ্যদের ভর্তুকি মূল্যে রেশন এবং বিজিবিতে চাকরির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বিজিবি মহাপরিচালক ভবিষ্যতেও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।’