পর্যটনশিল্পে বাংলাদেশ ও নেপাল যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে পারে: মন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নেপাল যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে বাংলাদেশ কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নেপাল সব সময়ই বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নেপাল যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। পর্যটনের প্রসারে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের মধ্যে যে আঞ্চলিক সার্কিট তৈরি করা হয়েছিল, তা পূর্ণরূপে কার্যকর করা প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকালে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটনশিল্প বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের বন্ধুত্ব শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আঞ্চলিক হাব হিসেবে প্রস্তুত হলে তা এই অঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে একটি সত্যিকারের গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।

বিমানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয়। আর সেই লক্ষ্য মাথায় নিয়েই সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর এ অঞ্চলের যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, অতিসম্প্রতি নেপাল কাঠমান্ডুর বাইরেও পোখারা ও ভৈরবাতে দুটি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছে। ঢাকা থেকে নেপালের নতুন এই দুটি বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালিত হলে তা দুই দেশের পর্যটকদের যোগাযোগ সহজ করবে।

তিনি বলেন, পর্যটনের প্রসারের জন্য যে আঞ্চলিক সার্কিট তৈরি করা হয়েছিল, তা কার্যকর করতে নেপাল কাজ করবে। দুই দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণেও নেপাল আগ্রহী।