বেইলি রোডে আগুন

১২ দিন পর স্বজনরা পেলো নাজমুলের মরদেহ

ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের পর রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মারা যাওয়া মো. নাজমুল হোসেনের (২৬) মরদেহ তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার ১২ দিন পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মৃতদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ। নাজমুল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন।

সিআইডি ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গ থেকে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকালে নাজমুল হোসেনের মরদেহ তার বাবা নজরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নাজমুলের মরদেহটি ১২ দিন পর পেয়েছি। সে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিবিএর শিক্ষার্থী ছিল। রামপুরার বনশ্রীর সি ব্লকের ৯ নম্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকতো। ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে বেইলি রোডের ওই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল।

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা সাবধানে কাজ করবেন। যেন এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে। যেন কোনও মায়ের কোল আর খালি না হয়।’ পরে দেশবাসীর কাছে তিনি সন্তানের জন্য দোয়া চান। পরে গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নলবুনিয়াকান্দি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাজমুলসহ ৪৬ জন মারা যান। আগুনে নাজমুলের মরদেহ মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। তার মরদেহ শনাক্ত করতে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। ১২ দিন পর নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় নাজমুলের মরদেহ।