বায়ুদূষণ কমাতে ৩ সংস্থার সঙ্গে ডিএনসিসির সমঝোতা স্মারক সই

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন এলাকায় বায়ুদূষণ ও তাপমাত্রা কমাতে গবেষণার মাধ্যমে কারণ ও সম্ভাব্য প্রতিকার খুঁজতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ডিএনসিসি। সংস্থা গুলোহলো, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ঢাকা নর্থ কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের সভাকক্ষে এই স্মারক সই অনুষ্ঠিত হয়। ওই তিনটি সংস্থার সহযোগিতায় ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে ডিএনসিসি আওতাধীন পাঁচটি এলাকায় আগামী এক বছর ওই গবেষণা পরিচালিত হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সমঝোতা স্মারকে সই করেন ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, ক্যাপসর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সামিউল সুরেশকুমার বার্ট এবং ঢাকা নর্থ কমিউনিটি টাউন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নাসরিন আক্তার। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার গবেষণা কার্যক্রমটির ওপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘ঢাকা শহরে তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ঢাকার বায়ুদূষণও অনেক বেশি। ডিএনসিসি ইতোমধ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও বায়ুদূষণ রোধে এই গবেষণা ভূমিকা রাখবে। গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে বায়ুদূষণ রোধ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আরও কী কী করণীয়, সে বিষয় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে এবং শহরের পরিবেশ রক্ষায় এই সমন্বিত উদ্যোগ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’

ডিএনসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেমের সঞ্চালনায় এ সময় আরও ছিলেন– প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির বিভাগীয় প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও ছিলেন ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার মো. মারুফ হোসেন, ক্যাপসর পরিচালক অ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জামান মজুমদার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মারজিয়াত রহমান ও প্রকৌশলী নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর চন্দন জি গোমেজসহ অন্যরা।