‘স্মার্ট বার কাউন্সিল গড়তে আইনজীবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভালো ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৭ মার্চ) বার কাউন্সিল ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, বাবা-মায়ের থেকে শেখা শিক্ষা বঙ্গবন্ধুর সাহচার্য্যে এসে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। তিনি ছিলেন হিমালয়ের চেয়ে উঁচু মনের মানুষ। দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও, বিএনপি-জামায়াত-জাতীয় পার্টির সরকার এসেছে। দেশে আইনজীবী বুদ্ধিজীবীদের মতো, তাই তাদের লার্নেড অ্যাডভোকেট বলা হয়। এই আইনজীবীদের কল্যাণের জন্য জাতির পিতা, আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া কেউ সহায়তা করেনি। আজকে অট্টালিকায় দাঁড়িয়ে কথা বলেছি তা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আইনজীবীদের জন্য ফান্ড তৈরি করেছিলেন। আইনজীবীরা মাত্র ৫ টাকা করে জমা দিতেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমি রাজধানীতে বসে ওকালতি করছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা না থাকলে আমি এখানে থাকতে পারতাম না। ভেবে দেখুন, কোথায় ছিলাম এখন কোথায় আছি। স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। এজন্য আমাদের স্মার্ট মানসিকতা, ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। বারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সমষ্টিগতভাবে আরও কাজ করতে হবে। আইনজীবী-বিচারপ্রার্থী মানুষদের ভালোবাসতে চেষ্টা করবেন। আর তা আপনাদের ব্যবহারের মাধ্যমেই প্রকাশ করতে হবে।

বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই তার সেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আমাদের বার কাউন্সিলের কার্যক্রমকেও স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানে আগতদের প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুন্দর ব্যবহার করবেন। পেশার মান ধরে রাখতে ভালো ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি শ্রম দিতে হয় না। আমরা জানি, বাংলার মানুষ ভালো থাকুক– জাতির পিতা এটাই চেয়েছিলেন। তাই তার দূরদর্শিতা নিয়েই মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জাতির পিতা ১৯৭২ সালে বার কাউন্সিলের এই জমি ও এখানে ভবন দিয়েছিলেন। তার কন্যা আমাদের নতুন এই ভবন দিয়েছেন। তাই আজকের বাংলাদেশের অগ্রগামী মহানায়কের সুনামকে টিকিয়ে রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প বাস্তবায়নে আমাদের এক থেকে কাজ করতে হবে। এতে পেশার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

বার কাউন্সিলের উপসচিব আফজাল-উর রহমানের সঞ্চালনায় ও বার কাউন্সিলের সচিব আবদুর রহমান সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাতেন ও কমপ্লেইন্ট অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।