হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ২০ বছর পর গ্রেফতার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু ওরফে শামীম ওরফে মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর রাতে তাকে বিমান বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত নুর মোহাম্মদ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।

অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, ২০ বছর পর পলাতক আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু ওরফে শামীম ওরফে মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদের ‘পাক স্যার জামিন সাদ বাদ’ বইটি জেএমবি মতাদর্শ পরিপন্থি হওয়ায় ২০০৪ সালে জেএমবি’র আমির শায়েখ আব্দুর রহমানের নির্দেশে জেএমবি’র সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি, সালাউদ্দিন সালেহিন, হাফেজ শহিদসহ অন্যদের সঙ্গে সংঘবদ্ধভাবে গ্রেফতারকৃত আসামি নুর মোহাম্মদ সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ‘অমর একুশে বইমেলা’ থেকে বের হয়ে বাংলা একাডেমি ও টিএসসি’র মাঝামাঝি পৌঁছালে গ্রেফতারকৃত আসামি ও তার সহযোগীরা হুমায়ুন আজাদকে ঘেরাও করে। তারা ব্যাগ থেকে চাপাতি-ছুরি বের করে ড. হুমায়ুন আজাদের ঘাড়, মাথা, মুখ, গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। এরপর হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ড. আজাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় জার্মানিতে মারা যান।

পরে বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল আদালত এই মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই আসামিরা হলো—জেএমবির সুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাউন, আনোয়ার আলম, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।  

আরও পড়ুন- হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড