সদরঘাটে পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু: ৫ জন রিমান্ডে

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ টার্মিনালে দড়ি ছিঁড়ে আঘাতে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ জনের তিন দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নকীব অয়জুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেলের আদালত প্রত্যেক আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার, দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে সদরঘাটে ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামে আরেকটি লঞ্চ ঢোকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে আঘাতে পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) পাঁচ জনকে আসামি করে এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই পাঁচ জনকে আটক করে নৌ-পুলিশ।

আরও পড়ুন

সদরঘাটে হতাহতের ঘটনায় মামলা

দুটি লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত, আটক ৫

সদরঘাটে নিহতদের মধ্যে তিন জন একই পরিবারের

সদরঘাটে দড়ি ছিঁড়ে হতাহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু