পার্কে জমলো ‘অলি-গলির হালখাতা’

পহেলা বৈশাখ শুনলেই রাজধানীবাসীর মনে আসে ছায়ানটের বর্ষবরণ আর চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার কথা। তবে সেই আয়োজনের আবহ আরও ছড়িয়ে দিতে নতুন আয়োজন হয়েছে ঢাকার গুলশানে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) নাগরিকদের উদ্যোগে গুলশান-বনানী-বারিধারা-উত্তরা অঞ্চলের জন্য গুলশান-২ এ বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে হয় বর্ষবরণের আয়োজন।

শনিবার রাতে উত্তরে বর্ষবরণের উপলক্ষে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে আঁকা হয়েছে আলপনা। ‘অলি-গলির হালখাতা’ নামে নববর্ষের আয়োজন আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় রবিবার বেলা ১১টার দিকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা হয় পার্কের ভেতরে।

গুলশান-২ এ বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে বর্ষবরণের আয়োজন

পার্কের একটি অংশ সাজানো হয়েছে বর্ণিল রূপে। ‘চিত্রালাপ’ শিরোনামে ৫০জন শিল্পী এঁকেছেন ছবি। এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন শিল্পী হাশেম খান। তিনি বলেন, আপনাদের সন্তানদের বাংলা, বাঙালি সংস্কৃতি শেখান। তাদের মধ্যে অসাম্প্রদায়ীক চেতনাকে জাগ্রত করুন।

অনুষ্ঠানে অভিনয় শিল্পী সারা জাকের বলেন, পহেল বৈশাখের আয়োজন ছড়িয়ে পড়ুক শহরে, গ্রামে  অলিত, গলিতে।

গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরার নাগরিকরা এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন

পার্ক জুড়ে নানা বয়সী মানুষ হাজির হন এ আয়োজন উপভোগ করতে। বর্ণিল পোশাকে অংশ নেন ভিন্ন দেশি মানুষও।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নববর্ষের প্রতিজ্ঞা হোক আমরা কেউ ঢাকা শহরে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলি। মনের আবর্জনাকে যদি আমরা মুছে ফেলতে পারি তাহলে শহরে আর কেউ আমরা আবর্জনা ফেলবো না।

‘চিত্রালাপ’ শিরোনামে ৫০জন শিল্পী এঁকেছেন ছবি, যার উদ্বোধন করেন শিল্পী হাশেম খান

মেয়র আরও বলেন, আমরা পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে দিতে চাই পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্য। পাড়ায় পাড়ায় পহেলা বৈশাখের উৎসব হবে। আগে মা-বাবা শবেবরাতের দিনে বলতেন হালুয়া নিয়ে যা রুটি নিয়ে যা। এখন কেউ আমরা হালুয়া রুটি নিয়ে যাই না, আমরা সবাই নিজের ঘরের মধ্যে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকি। মোবাইল বাদ দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও এ অনুষ্ঠানে যারা আসতে পেরেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

শিশুদের জন্য ছিল বায়োস্কোপ

বর্ণিল রূপে সাজানো হয় পার্কটি